কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক।
বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথমদিন মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ছয়সূতি ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩০) ও ছাত্রদল নেতা রেফাত উল্লাহ (২০)।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ছয়সূতি এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে তারা হঠাৎ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। দুই পক্ষের মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃষক লীগ নেতা বিল্লাল। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। দুপুরের দিকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রদল নেতা রেফাত উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহত দুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ কুলিয়ারচরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবরোধকারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের সারানোর চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সংঘর্ষে কুলিয়ারচর থানার ওসি গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা সদর, বাজিতপুর, ভৈরব, বাজিতপুর, কুলিয়ারচরসহ কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বেলে ব্যারিকেড দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ভৈরবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এর সময় ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।