ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার সম্পদ তাদের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত অবৈধ উপায়ে অর্জিত বলে প্রতীয়মান হওয়ায় এবং জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ তাদের ভোগ দখলে রেখে অভিযুক্ত শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশন আইন’ ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাপিয়া হোটেল ওয়েস্টিনে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বিল দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ওয়েস্টিনে ১১ জন নিয়ে নিয়মিত থাকতেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাপিয়ার ৮৮ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
সে বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। বাকিরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।