muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

সংসদ নির্বাচনে মন্ত্রণালয়ের কার কী কাজ, জানাল ইসি

সংসদ নির্বাচনে মন্ত্রণালয়ের কার কী কাজ, জানাল ইসি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের বিভিন্ন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিলের আগে-পরে, নির্বাচনের দিন এবং ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত যার যা করণীয়, তা যেন সঠিকভাবে পালন করা হয় এবং কাজে কোনো ধরনের সমস্যা যেন না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকটি নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য ও সম্প্রচার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিবসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা অংশ নেন। এ ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিত ছিলেন।

আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সব এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা- একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে যার যে দায়িত্ব, তারা যেন যথাযথভাবে পালন করেন। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। তারাও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

আর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজনেই মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগের যা কিছু করণীয় আছে তা অবহিত করা এবং নতুন বিধিবিধানের আলোকে কী করার রয়েছে, তাদের জানানো হয়েছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যার যেটা করণীয় তা ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করবে। ইসি তাদের উপর কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজন করা যায়।

নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে কমিশনে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো সংলাপের আয়োজন করেনি। ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা দুইজন মনোনীত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষে ইসি যেসব কার্যক্রম নিয়েছে, তা অবহিত করবে এবং তাদের কোনো পরামর্শ থাকলে সেটা শুনবে।

প্রসঙ্গত, চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। ফলে সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। রাজনীতির মাঠে সংঘাত আর সহিংসতার মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে বুধবার।

নিয়ম অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে চায়। আর জানুয়ারির প্রথম দিকে ভোট করার পরিকল্পনা আছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির।

Tags: