আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনে ৩০০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের খাস কামড়ায় বৈঠকে এ সহযোগিতা চান সিইসি। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব:), বেগম রাশেদা সুলতাম, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ও পরে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ইলেক্ট্ররাল ইনকোয়ারি কমিটি ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির দায়িত্ব পালনের জন্য ৩০০ বিচারক চান। এসময় প্রধান বিচারপতি এ বিচারক চাওয়ার এ আবেদন আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা বলেন। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টে পাঠালে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে আইনমন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠাবে।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি নির্বাচনকালীন সময়ে তিনদিন দায়িত্ব পালন করে, ইলেক্ট্ররাল ইনকোয়ারি কমিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীদের আচরণবিধি লংঘনের সুরাহা করে থাকেন। একজন যুগ্ম জেলা জজ এ ইনকোয়ারি কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। সে বিষয়েও সহযোগিতা চেয়েছেন সিইসি।
সবশুনে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে আইনমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব দেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব আসলে সুপ্রিমকোর্ট সে প্রস্তাবের ওপর মতামত প্রদান করবেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠকে করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ইসির চার কমিশনার সুপ্রিম কোর্টে যান। বিকেল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৯ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ সার্বিক বিষয় অবহিত করতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ চায় ইসি। তাদের সাক্ষাৎ চেয়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) এ বিষয়ে দুটি আলাদা চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয় বলে জানায় ইসির একাধিক সূত্র।
ইসি জানায়, আগামী ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সাক্ষাতের কিছুদিনের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এ ধরনের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়। এবারও তাই চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজনীতির মাঠে সংঘাত আর সহিংসতার মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে বুধবার।
নিয়ম অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।