muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

৫ বছরে দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারের হার বেড়েছে

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ

দেশে গত ৫ বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বেশ বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের এখন ৬২ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ। ২০১১ সালে এই হার ছিল ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

বুধবার (২২জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিবিএস’র ‘রিপোর্ট অব বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিকটিস-২০১৫’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী:

গড় আয়ু: দেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭০ বছর ৯ মাস। এর মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু ৬৯ বছর ৪ মাস ও মহিলার ৭২ বছর। এর আগে ২০১৪ সালে গড় আয়ু ছিল ৭০ বছর ৭ মাস।

শিশু মৃত্যু হার: এক বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী এখন দেশে শিশু মৃত্যুর হার প্রতিহাজারে ২৯ জন, এর আগে ২০১৪ সালে এর হার ছিল ৩০ জন।

পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের কম বয়সের শিশু মৃত্যুহারও কমেছে। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী এখন শিশু মৃত্যুর হার প্রতিহাজারে ২০ জন, এর আগে ২০১৪ সালে এর হার ছিল ২১ জন। ১-১১ মাস বয়সের শিশু মৃত্যু হার প্রতিহাজারে এখন ৯ শতাংশ, যা ২০১৪ সালেও একই ছিল। এছাড়া ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুহার ২০১৪ সালের তুলনায় ৩৮ জন থেকে কমে এসেছে ৩৬ জনে।

মাতৃ মৃত্যু হার: অপরদিকে দেশে মাতৃ মৃত্যু হারও কমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি হাজারে ২০১৫ সালে দেশে মাতৃ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৮১ জন, এর আগে ২০১৪ সালে এর হার ছিল ১ দশমিক ৯৩ জন।

বিয়ের গড় বয়স: গত ৫ বছরে নারীদের বিয়ের গড় বয়স প্রায় অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। ২০১১ সালে পুরুষের বিয়ের গড় বয়স ছিল ২৪ দশমিক ৯ বছর এবং নারীদের ১৮ দশমিক ৬ বছর। ২০১৫ সালে পুরুষের বিয়ের গড় বয়স হয়েছে ২৬ দশমিক ৪ বছর এবং নারীদের বিয়ের গড় বয়স হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ বছর।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার: গত ৫ বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বেশ বেড়েছে। ২০১১ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ছিল ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই হার হয়েছে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ।

আগমন ও বহির্গমন: ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ইন-মাইগ্রেশন রেট এসভিআরএস নমুনা এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যার জন্য ইন-মাইগ্রেশন রেট ৫৪ দশমিক ৪ জন। ২০১৪ সালে এই হার মাত্র ৪০ দশমিক ২ জন।

এইচআইভি/এইডস: প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী, দেশে প্রতি হাজারে ৯ জন মানুষ কোন না কোনভাবে প্রতিবন্ধী। মহিলাদের চেয়ে পুরুয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার বেশি। এছাড়া মাত্র ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ মহিলা এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের সকল পদ্ধতি সম্পর্কে জানে। ২০১৪ সালে এই হার ছিল ২১ শতাংশ।

শিক্ষার হার: ৭ বছর ও তদুর্ধ জনসংখ্যার হার এখন ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এর আগে ২০১৪ সালে এই হার ছিল ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

টয়লেট সুবিধা: দেশে ১ বছরে স্যানিটেশন সুবিধা বেড়েছে। ২০১৫ সালে স্যানিটেশন সুবিধা ভোগীর সংখ্যা ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এর আগে ২০১৪ সালে এই হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে উন্মুক্তস্থানে টয়লেটকারীদের সংখ্যা বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে, ২০১৪ সালে ছিল ২ দশমিক ১ শতাংশ।

এছাড়া দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৭ দশমিক ৯ দশমিক শতাংশ লোক বিদ্যুৎ সুবিধা ব্যবহার করছেন। অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই পরিসংখ্যান দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বিবিএস’র তথ্য এখন অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। বিদেশেও এর তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব তথ্যবলী আমাদের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারনী তৈরিতে কাজে লাগবে।

এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এই তথ্যগুলো জাতীয় জীবন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তথ্য ছাড়া কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় না।

তিনি আরো বলেন, মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের হার কম থাকায় তাদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে কিছুটা বেশি। সবাই বেশি বছর বাচতে চায়। এজন্য আমাদের সার্বিক বিষয়ে উন্নতি লাভ করতে হবে।

Tags: