muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

চরভদ্রাসনে পদ্মার তীর রক্ষা বাঁধে ধস

চরভদ্রাসনে পদ্মার তীর রক্ষা বাঁধে ধস

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পদ্মা নদীতে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩.৪ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ ও ১০ কিলোমিটার ড্রেজিং এর কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২২ এর দিকে নির্মান কাজ শেষ হয়। কিন্তু বছর না যেতেই উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষন বাঁধ এলাকায় প্রায় ৩০ মিটার এলাকা জুড়ে ধ্বস দেখা গেছে। এতে উপজেলার পদ্মা রক্ষা বাঁধটি হুমকীর মুখে রয়েছে। শনিবার ( ৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা পদ্মা নদীর ওই গ্রাম পয়েন্টে বাঁধে ধ্বস দেখা দেয়।

মঙ্গলবার(৭ নভেম্বর) এলাকাবাসি জানান,বাঁধের উপর দিয়ে ভারী পাইপ লাইনের মাধ্যমে বলগেইটের বালু লোড-আনলোড করা হয় নিয়মিত। এছাড়া নিমার্ন এর সময় কোন ত্রুটি হয়েছে কিনা সেটা তারা বলতে পারবেন না। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখার দাবী জানান। তবে এই এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়া ছিল এই পদ্মা তীরে স্থায়ী বাধ নির্মান। বাঁধ ধসে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আবারও পদ্মা ভাঙ্গনের আতঙ্কে রয়েছেন বলে তারা জানান।

রোববার ( ৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী মোর্শেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাউছার, ভাইস চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্যা, ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, ফরিদপুর পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

ফরিদপুর পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, ব্যাবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে ভারী পাইপ লাইনের মাধ্যমে বলগেইটের বালু লোড-আনলোড করে আসছিল। এতে পদ্মার তীর সংরক্ষন বাঁধের তলদেশের মাটি সরে গিয়ে প্রায় ৩০ মিটার এলাকা ধ্বসে গেছে। এছাড়াও ওই বাঁধ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ধ্বস দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, পদ্মা রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে ওই বালু ব্যাবসায়ীর ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। আর পদ্মা নদীর পানি কমে সম্পূর্ণ তীর জাগার পর বিধ্বস্ত বাঁধ মেরামত করা সম্ভব বলেও তিনি জানান”।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী মোর্শেদ বলেন, পদ্মা রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে বলগেইটে বালু আনলোড দ্রুত বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শীগ্রই ধ্বসে যাওয়া বাঁধ এলাকা মেরামতের জন্য সব ধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এছাড়া বাঁধ ধ্বসে যাওয়ার অন্য কোন কারন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

Tags: