মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্কঃ চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন উন্নত দেশ সুন্দরী রোবট তৈরির দিকে ঝুঁকছে। পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা হচ্ছে পরিপুষ্ট শরীরের আবেদনময়ী রোবট। তবে মানুষের সঙ্গী হিসেবে রোবট প্রকল্পটি এখনো গবেষণার পর্যায়ে এবং তা ব্যয়বহুল।
আর তাই প্লাস্টিকের পুতুলের চাহিদা বাজারে ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে চীনের পুরুষদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে মানুষ আকৃতির ও সিলিকন শরীরের প্লাস্টিকের পুতুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনা।
শুধু যে সুন্দরী এসব পুতুলকে যৌন সঙ্গী হিসেবে পুরুষরা পছন্দ করছেন, তা কিন্তু নয়। বরঞ্চ সন্তান হিসেবে গ্রহণ করছেন পুতুলকে, গার্লফেন্ড হিসেবে, স্ত্রী হিসেবেও সিলিকন পুতুলের সঙ্গে সম্পর্কে তৈরি করার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে দেশটিতে।
চীনের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যমে পিপলস ডেইলি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, অনেকে বাসে, সিনেমা হলে, পার্কে হাটার সময় সঙ্গী হিসেবে রাখছেন তার পুতুলটিকে।
যেমন সাং বো নামক এক ব্যক্তি তার পুতুলটিকে মেয়ের মতো লালন পালন করছেন। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি একটি জটিল রোগে ভুগছেন, তাই তিনি বিয়ে বা সন্তান নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননা। এর পরিবর্তে পুতুলকে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং পুতুলটির জন্য নিয়মিত শপিং করে থাকেন।
বেইজিংয়ের ৩৬ বছর বয়সী শেয়ার ব্যবসায়ী জ্যাং ফ্যান বলেন, তার পুতুলটি একটি নারী সংস্করণ। এবং এটির ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তার কাছে সে একজন নারী। তিনি তার জন্য পোশাক ও গহনা নিয়মিত কিনে থাকেন এবং রাস্তায় ও পার্কে তারা একসঙ্গে ছবি তুলে থাকেন। গার্লফ্রেন্ড হিসেবে পুতুলের সঙ্গে মেলামেশার বিষয়টি জ্যাংয়ের পরিবার মেনে নিয়েছে কিন্তু তিনি পুতুলটিকে বিয়ে করতে আগ্রহী।
৫৮ বছর বয়সী লি চ্যান নামক আরেক ব্যক্তি বলেন, ডিভোর্সের ১২ বছর পর তিনি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে পেরেছেন। এজন্য তিনি তার পুতুলকে ধন্যবাদ জানান। লি দাবী করেন, তিনি এখন নিজেকে তরুণ ভাবতে পারেন এবং তার শরীরও এখন শক্তিশালী।
সব মিলিয়ে সিলিকন পুতুলের বড় বাজার সৃষ্টি হয়েছে। চীনের বাজারে বর্তমানে ৫০ ধরনেরও বেশি সিলিকন পুতুল পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে মানুষের মতো খুবই নরম ও কোমল ত্বকের পুতুলও রয়েছে। যৌন সম্পর্ক ছাড়াও, এমন অনেকে রয়েছে তারা পুতুলকে জীবনসঙ্গী হিসেবেও গ্রহণ করতে আগ্রহী। চীনের সেক্স খেলনা বাজার বছরে বর্তমানে আনুমানিক ১০০ বিলিয়ন ইয়ান।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২২-০৬-২০১৬ ইং/মো: হাছিবুর রহমান