মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ
ছুটির দিনে বেড়াতে যাবেন ভাবছেন?? কোথায় যাবেন, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম???? না এত টাকা খরচ করে এত দূরে যাওয়ার কি দরকার। হাতের কাছেই কম খরচে ঘুরে আসুন কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর রাণী খ্যাত ছোট উপজেলা অষ্টগ্রাম। সুবিশাল হাওর বেষ্টিত উপজেলাটিতে রয়েছে অনেক কিছু। এখানে আছে মোঘল স্থাপত্য ঐতিহাসিক শাহী কুতুব মসজিদ, আছে দৃষ্টিনন্দন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু, আছে এশিয়া বিখ্যাত অষ্টগ্রামের পনির, আছে ইকরদিয়ার গরম গরম বিখ্যাত মুরালি। পরিবার পরিজন নিয়ে এই বর্ষা মৌসুমে ঘুরে দেখে আসার মতো একটি চমৎকার জায়গা এই অষ্টগ্রাম।
ভাবছেন কিভাবে আসবেন :
যদি ঢাকা দিয়ে বা ঢাকা থেকে আসতে চান তাহলে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড হতে রেগুলার বাসা আছে। ঢাকা থেকে ভৈরব হয়ে নেমে পড়ুন কুলিয়ারচর দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ব্যাটারীচালিত অটো রিকশা নিয়ে চলে আসুন কুলিয়ারচর লঞ্চঘাটে। সেখান থেকে সকাল সাড়ে আটটায়, দুপুর সাড়ে এগারোটায়, দুইটায় ও চারটায় লঞ্চ ছাড়ে অষ্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। বর্ষা মৌসুমে কুলিয়ারচর থেকে অষ্টগ্রাম আসতে সময় নেয় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা। পরে নেমে যান অষ্টগ্রাম লঞ্চঘাটে। সেখান থেকে বাজারে রিকশায় বা অটোতে করে ১০ টাকা অথবা ২০ টায় বাজারে চলে আসুন। রাত্রি যাপনের জন্য আপনি আগে থেকিই সরকারি ডাকবাংলোতে যোগাযোগ করতে পারেন। সম্ভব না হলে বাজারের ভিতরে কয়েকটি হোটেল আছে। হোটেল ঝিলিক আবাসিক, হোটেল আশরাফিয়া মোটামুটি থাকার জন্য ভালো। আর খাবারের কথা ভাবছেন। নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ খেতে হলে চলে আসুন বাবুল ভাইয়ের হোটেলে। হোটেলটা সস্তা হলেও খাবারের দিক থেকে পাঁচ তারকা হোটেলকেও হার মানাবে। বাজারের যে কোনো দোকানে বাবুল ভাইয়ের হোটেলের কথা বললে আপনাদের চিনিয়ে দিবে। সবকিছু মিলিয়ে কম খরচে হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম ঘুরে গেলে আশা করি খারাপ লাগবে না।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৪-০৬-২০১৬ইং/ অর্থ
Tags: