muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

ভৈরব

ভৈরবে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়ি-ঘর ভাংচুর

ভৈরবে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়ি-ঘর ভাংচুর

সোহানুর রহমান সোহান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বধূনগর এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ উভয়পক্ষের অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। ভাঙচুরসহ লুটপাট করা হয়েছে ১০-১৫টি বাড়ি-ঘর।

আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরবর্তী অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বধূনগর গ্রামের তৌহিদ মিয়ার সাথে প্রতিবেশী মতি মিয়া ও আবুল কালামের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের মীমাংসা করতে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সালিশ দরবার বসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মাতব্বররা। ওই সালিশে দুইপক্ষের তর্কাতর্কিতে সংঘর্ষ বাধলে তৌহিদ মিয়ার বাড়ির কালা মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হয় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন।

এই ঘটনায় নিহত কালা মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে মতি মিয়া ও আবুল কালাম মিয়ার বাড়ির লোকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তার এড়াতে পুরুষরা পালিয়ে যান। এই সুযোগে কালা মিয়ার বাড়ির সমর্থকরা ওই দুই বাড়ির অর্ধশত আধা-পাকা বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

পরে গত জুলাই মাসে জামিনে এসে মতি মিয়া ও কালাম মিয়ার বাড়ির লোকজন ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় তৌহিদ মিয়া ও কালা মিয়া ও তাদের সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে। ওই ঘটনায়ও উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

গতকাল শুক্রবার রাতে ফের উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গতকালের উত্তেজনাকে কেন্দ্র আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে আসে তাদের স্বজনরা।

আহতদের মাঝে ২৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর অবস্থায় শাহ-আলম, জালাল মিয়া ও কিবরু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এবং জজ মিয়া, ইমরান মিয়া, অন্তর মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, জাকির হোসেন, জাহের মিয়া, রুবেল মিয়া, সুজন মিয়া ও লাকী বেগম নামের ৯ জনকে আশপাশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Tags: