মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ
রাজধানীবাসীর বহু কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল নির্মাণের অংশ হিসেবে আগামী রোববার এর ভূমি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উদ্বোধনের মাধ্যমে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে মেট্রোরেল প্রকল্প পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী রোববার (২৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিপো এলাকায় ল্যান্ড ডেপেলপমেন্ট (ভূমি উন্নয়ন) কাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন।’
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত থাকবেন।
মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘২০১৯ সালের মধ্যে রাজধানীবাসীর জন্য মেট্রোরেল চলাচল শুরু করবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি।’
সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে মেট্রোরেল প্রকল্পের এ প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘প্রকল্পটির ৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে একটি প্যাকেজের কন্ট্রাক সাইন হয়েছে। ৫টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রসেসের মধ্যে রয়েছে। আর বাকি ২টি প্যাকেজের টেন্ডার আমরা এ মাসে শুরু করব।’
মেট্রোরেল প্রকল্পের অদৃশ্যমান কাজই প্রায় অর্ধেক। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে প্রকল্পটির দৃশ্যমান কাজ দেখা যাবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) এ প্রকল্প অনুমোদন পায়। পরে ভূমি অধিগ্রহণের বিশেষ বিধান রেখে মেট্রোরেল সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা লাগবে, যার ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাপানের আন্তার্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার। ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই করেছে সরকার।
পরিকল্পনার নকশা অনুযায়ী রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে উত্তরা থেকে শুরু করে মিরপুর-ফার্মগেইট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এই রেল প্রতি চার মিনিট পরপর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে ছুটে চলবে। আর এতে ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী।
মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবে- উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেইট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়।