কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে যাত্রী সেজে চালককে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার আদমপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার ওই তিনজনকে কিশোরগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সুতুরকান্দা গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে সোহাগ (২১), একই উপজেলার বলাকিপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে রামিন (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মৃত নিজামুল হকের ছেলে এনামুল হক (২১)।
অটোরিকশা চালক মোকাররম কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা (সারেং বাড়ি) গ্রামের ফাইজুল মিয়ার ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, গত সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে অটোরিকশা চালক মোকাররম ৫০০ টাকা ভাড়ায় তাড়াইল বাজার থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথে যাত্রীরা মোকাররমকে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে পান করান। চালক কেন্দুয়া থানার আদমপুর এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছানোর পর বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন যাত্রীদের গ্রেফতার করে। পরে কেন্দুয়া থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে আসামিদের গ্রেফতার ও অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নেয়।
খবর পেয়ে অটোরিকশা চালকের বড় ভাই নুর আলম (২৩) তাড়াইল থানাকে অবহিত করে। ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক মোকাররমকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর বড় ভাই নুরে আলম বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ জানান, অটোচালকের বড় ভাই বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।