দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কিশোরগঞ্জ-১,২ ও ৩ আসনের যাচাইয়ের কাজ গতকাল শেষ হলেও আজ শেষ দিনে সম্পন্ন হয় বাকি ৩টি আসন কিশোরগঞ্জ-৪,৫ ও ৬ এর মনোনয়ন।
সর্বমোট ৫৪জন প্রার্থীর মধ্যে গৃহীত হয় ৩২ জনের। স্থগিত হয় ৮ জনের। বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয় ১৪ জনের মনোনয়নপত্র।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে ৪, ৫ ও ৬ আসনের ২৪ জনের মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় এবং ৮ জনের স্থগিত ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতির ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন ও কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে বিসিবি সভাপতি বর্তমান সাংসদ নাজমুল হাসান পাপনের মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে মামলার তথ্য গোপন করায় একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পালের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে মামলার তথ্য গোপন করায় ইসলামী ঐক্যজোট- আইওজে মাওলানা শেরজাহান মোমেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে সমর্থনকারী ভোটের তথ্য স্বাক্ষরের গড়মিল থাকায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী মোহাম্মদ আয়ুব হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাবুদ্দীনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ৮জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর রোববার জেলার সংসদীয় তিনটি আসন কিশোরগঞ্জ-১,২ ও ৩ এ ৩০জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে বিভিন্ন কারণে ১০জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ মামলা তথ্য গোপন করায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
সেই সঙ্গে আলোচিত বিএনপির বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অপরদিকে প্রয়াত আওয়ামী সাধারণত সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বড় ভাই মেজর অব. সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম মৃতব্যাক্তির নাম সমর্থনকারী হিসেবে উল্ল্যেখ করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এছাড়াও তৃণমূল বিএনপি, গণতন্ত্রী পার্টি, কংগ্রেস, ইসলামী ঐক্যজোট, স্বতন্ত্রসহ বেশ কয়েকটি দলের ১০জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।