কিশোরগঞ্জে ৮টি ডাকাতি ও ১টি ধর্ষণ মামলার আসামি সুমন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমন সরকার (৪০) নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ০২ নং উত্তর সাধারচর ইউনিয়নের সাধারচর এলাকার মৃত আঃ সালাম সরকার ওরফে সালামত সরকারের ছেলে। সুমন সরকারের মা মৃত জোবেদা খাতুন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাত হোসেন (পিপিএম) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার বাদীর নারাজী ও আদালতের নিদের্শে মামলাটি গত ৫ নভেম্বর পিবিআইকে দেওয়া হয়। ডাকাতি মামলার সূত্র ধরে বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে আরও ৭টি ডাকাতি ও ১টি ধর্ষণ মামলার খোঁজ পাওয়া যায়। এক মাসের মধ্যে কুখ্যাত ডাকাতকে পিবিআই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। মামলার অন্য আসামী সুমন, আব্দুল্লাহ, রুবেল, আসাবুদ্দিন, আলামিন, আমজাদ, রিপন, জাহাঙ্গীর, জিল্লু, সমবয়সী ও তাদের পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আসামিরা সংঘবদ্ধ চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা র্দীঘদিন থেকে সড়ক ও নৌ পথে ডাকাতি করে আসছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে,২০২০ সালের ২২অক্টোবর রাত ১১টার সময় বসতঘরের কেচিগেইটের তালা কেটে ০১ টি মটর সাইকেল, আলমারী হতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা,স্বর্ণের দুল ও ০৩ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ ঘটনায় (২৬ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ইমামেরচর এলাকার হাজী মোঃ সুরুজ আলীর ছেলে মোঃ নবী হোসেন (৪২) বাদী হয়ে ভৈরব থানা একটি মামলা (মামলা নং-৩৮) দায়ের করেন।
ঘটনার এক সপ্তাহ আগে আসামিরা ভৈরবের ইমামেরচরে নবী হোসেনের বাড়ির পেছনে মিলিত হয়। এরপর ডাকাতি করে জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। এরপর মোটরসাইকেল,স্বর্ণ ও মোবাইল বিক্রি করে প্রত্যেকেই ৮ হাজার টাকা ভাগ করে নেয়। ডাকাতির বিষয়ে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সুমন সরকার বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ম্যাজিট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে হাজির হয়। এরপর ঘটনার বিস্তারিত বিবরন দিয়ে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।