রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সেবা দেশের সকল অঞ্চল ও সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান মাধ্যম হলো তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
রাষ্ট্রপতি আজ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ও তথ্যসংঘ দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে এ কথা বলেন।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, সরকার আইসিটি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের বিশেষ করে তরুণ সমাজের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিকে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করতে পারলে সমাজ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
এ বছর আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৫০তম বর্ষপূর্তিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদ্যাপনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর আইটিইউ বিগত দেড়শ বছর ধরে বিশ্বের মানুষকে একসূত্রে গেঁথে রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আইটিইউ’র সদস্য হিসেবে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’
দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি : উদ্ভাবনের ড্রাইভার’ যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লি¬ষ্ট সকলকে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ও তথ্যসংঘ দিবস উদ্যাপনের সাফল্য কামনা করেন।