কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে করা আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোটভাই মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনে করা আপিল শুনানি শেষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন তার মনোনয়ন বাতিল করেন কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছিলেন।
ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। লিপি এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এক শতাংশ ভোটারের তথ্য ও স্বাক্ষর গরমিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। সৈয়দ সাফায়েত রিটার্নিং কর্মকর্তার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন।
ইসি আপিল শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বৈধ হিসেবে মঞ্জুর করে। সৈয়দ সাফায়েতের মনোনয়ন ফিরে পাওয়ায় কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনটিতে মূলত দুই ভাই বোনের লড়াই হবে।
এছাড়াও একই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তাদের চাচাতো ভাই কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
মেজর জেনারেল সাফায়েতুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব ছিলেন। সৈয়দ সাফায়েত ও ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রয়াত সৈয়দ নজরুল ইসলামের দুই সন্তান। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাদের বড় ভাই।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।