মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ
পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার টানা ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশ। যে কোন বছরের তুলনায় এবার ছুটি বেশি। লম্বা ছুটির কারণে রাজধানী থেকে বহু মানুষ বাড়ি যাবেন। এ সুযোগে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি যাতে না ঘটে তার জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ নিরাপত্তা ঈদের পরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঈদে কি ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে তার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ সময় কারা অপরাধ সংঘটিত করতে পারে তাদের একটি তালিকাও করা হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আইনে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার সময় বাসায় ঠিকমতো তালা মেরে যেতে হবে। প্রতিটি এলাকায় বাসার দারোয়ানকে ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ জন্য পুলিশ সদস্য ও বাড়িওয়ালারা সমন্বয় করে কাজ করবেন।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে রাজধানীতে থাকবে র্যাব ও পুলিশের ১০ হাজার সদস্য। ডিএমপি’র ৮টি জোনে এবং কূটনৈতিক এলাকায় চেন্সারি জোনে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের ৭ হাজার সদস্য এবং র্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের প্রায় ৩ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এছাড়াও থাকছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত, মোটরসাইকেলে টহল, ফুট পেট্রোল, তল্লাশি চৌকি, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড। ২৫ রমজানের পর থেকেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঈদের সময় নগরবাসী যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, এ জন্য প্রথাগত কালো পোশাকের বাইরেও সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন মার্কেট, আবাসিক এলাকা ও কূটনৈতিক পাড়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় টহল দেবেন। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধ যাতে না ঘটতে পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ দ্বারে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি করা হবে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নগরবাসীর সচেতনতা সৃষ্টিতেও প্রচার চালানো হচ্ছে। তাৎক্ষণিক অভিযোগ বা সমস্যা জানানোর জন্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঈদের ছুটিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাবের ৮ হাজার সদস্য প্রস্তুত থাকবে। কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।