প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটানোয় তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কোন স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা।
আগামীকাল ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০১৫’ উপলক্ষে দেয়া আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি: উদ্ভাবনের চালিকা শক্তি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাঁর সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ছয় বছরে তাঁরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি আরো বলেন, তাঁর সরকারের সময়েই ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। মোবাইল ফোন গ্রাহকগণ উন্নত টেলিসেবা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে। টেলিডেনসিটি শতকরা ৭০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। দেশের মানুষ ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মোবাইল সিম ব্যবহার করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় ‘জেলা তথ্য বাতায়ন’ এবং দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজতর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সকল উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
দিবসটির সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালনের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের জনগণ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরো অবহিত হবেন এবং এর সুফল ভোগ করবেন।