মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্কঃ ঈদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ও বেসরকারি মালিকানাধীন লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌমন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
ঈদে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যাতে না চলতে পারে সেই ব্যাপারে সরকার খুবই সতর্ক জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওভারলোডিং (লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন) ঠেকাতে সদরঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, পুলিশ ও মন্ত্রণালয়ের অফিসাররা থাকবেন। তারা এটি দেখভাল করবেন। অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরামে ঈদ করি, কিন্তু আমাদের অফিসারদের অনেকের ঈদ করা হয় না। তারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন। তারা ব্যস্ত থাকবেন, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে।’
শাজাহান খান বলেন, পূর্বে নৌপরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ছিল না। এক সময় নৌযান তৈরি করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিত, এখন নৌযান নির্মাণের আগে ডিজাইন পাস করাতে হয়। বর্তমানে যেসব লঞ্চ তৈরি হচ্ছে, সেগুলোর তলদেশে কয়েকটি ভাগ আছে। একটি ভাগ ছিদ্র হলে, ওই একটা ভাগে পানি ঢোকে।
লঞ্চে রঙ চঙ করা দোষের কিছু নয়। তবে ফিট না থাকলে লঞ্চ চলতে দেওয়া হবে না বলে জানান মন্ত্রী।
নৌ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে নৌসচিব অশোক মাধব রায় এবং সংস্থাসমূহের প্রধানরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ চুক্তির মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বছর শেষে লক্ষ্য অনুযায়ী সংস্থার বাস্তব কাজের মূল্যায়ন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২৮-০৬-২০১৬ ইং/মো: হাছিবুর রহমান