ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল ও স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনী হামাসের মধ্যে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
ইসরাইলির হামলায় ইতোমধ্যে প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ধ্বংসস্তূপের নীচে প্রায় আট হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধার তৎপরতায় বাধা দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
এদিকে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি খাবারের জন্য হাহাকার করছে। এত কিছুর পর কাঙ্খিত সাফল্য পাচ্ছে না ইসরাইলি বাহিনী। প্রতিদিন তাদের সৈন্য মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগে। আর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কৌশল বুছতে না পেরে আর হতাশ তারা।
গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ৭১ দিন ধরে অভিযান চালিয়েও হামাসের কৌশল বুঝতে পারছে না ইসরাইলি বাহিনী। এর মধ্যেই হামাসের হাতে তিন বন্দীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে তারা।
তাছাড়া হামাসের যুদ্ধক্ষমতাও খুব হ্রাস করতে পারেনি। এমন প্রেক্ষাপটে ইসরাইলি সৈন্যদের মধ্যে হতাশা ভর করেছে । শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
গাজা যুদ্ধে ইসরাইল তার সব ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু তারপরও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এখনো পায়নি। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পর্যবেক্ষণ পোস্ট, স্নাইপার অবস্থান, মর্টার লাঞ্চার, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র, কমান্ড সেন্টার, আর্ম ক্যাশে তাদেরকে অস্থির করে ফেলেছে। সেইসাথে আছে মাটির নিচে থাকা হামাসের বিশাল সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতা মুক্তিকামী সশস্ত্র বাহিনী হাসাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলিদের এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।