muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

২০১৫ সালে সরকারি খাতে ‘ঘুষ’ ছিল ৮ হাজার ৮২১ কোটি টাকা

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ

২০১৫ সালে সরকারি সেবা খাতগুলোতে ঘুষ বা নিয়ম বহির্ভূত লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৮ লাখ টাকার। যা ওই অর্থবছরের (২০১৪-১৫) সংশোধিত বাজেটের ৩.৭ শতাংশ এবং জিডিপির শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। আর এসব ঘুষ বা নিয়ম বহির্ভূত অর্থলেনদেনে টাকার পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে দেশের অন্যতম সেবা খাত ভূমি প্রশাসন।

বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ধানমণ্ডিস্থ কার্যালয়ে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি : জাতীয় খানা জরিপ-২০১৫’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব চিত্র তুলে ধরা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের অক্টবর পর্যন্ত দেশের ১৬টি সেবা খাত ও সেবাগ্রহীতাদের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

টিআইবি’র জরিপে বলা হয়েছে, দিন দিন এসব সেবা খাতে দুর্নীতি বাড়ছে। ২০১২ সালের তুলনায় গত বছর ১ হাজার ৪৯৭ কোটি ৩ লাখ টাকার বেশি ঘুষ ও ‍নিয়ম বহির্ভূত লেনদেন হয়েছে। এবছর সবচেয়ে বেশি পরিমান টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে ভূমি প্রশাসনে। সেখানে ২ হাজার ৪৫০ কোটি ৩ লাখ টাকার নিয়ম বহির্ভূত লেনদেন হয়েছে। টাকার অঙ্কে ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। এ খাতে ২০১৫ সালে ১ হাজার ৭০২ কোটি ৪ লাখ টাকা।

জরিপ প্রতিবেদনে খাতওয়ারি ঘুষের পরিমাণ হিসাবে আরো উল্লেখ করা হয়, পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সেবা খাতে ১ হাজার ৬১৩ কোটি ৪ লাখ টাকা, বিচারিক সেবায় ৮০৮ কোটি ৫ লাখ টাকা, গ্যাসে ৭৩৪ কোটি টাকা, শিক্ষা খাতে ৪১৩ কোটি ১ লাখ টাকা, পাসপোর্ট সেবায় ২৯৫ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ১৯২ কোটি ৩ লাখ টাকা, বিআরটিএ ১৫৬ কোটি ৩ লাখ টাকা, বিমা খাতে ১১৪ কোটি ৯ লাখ টাকা, ব্যাংকিং খাতে ১১০ কোটি ৪ লাখ টাকাসহ মোট ১৬ টি খাতে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৮ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে।

তবে গড় হিসেবে গ্যাসের সংযোগ নিতে গিয়ে কোন গ্রহীতাকে (খানা) সবচেয়ে বেশি ঘুষ প্রদান করতে হয়েছে বলে প্রতিবদনে বলা হয়। যার গড় পরিমাণ ২৭ হাজার ১৬৬ টাকা। এছাড়া বিমা খাতে সেবা নিতে গড়ে ১৩ হাজার ৪৬৫ টাকা ঘুষ প্রদান করতে হয়। আর বিচারিক সেবার ক্ষেত্রে গড়ে ৯ হাজার ৬৮৬ টাকা এবং ভূমি প্রশাসনে গড়ে ৯ হাজার ২৫৭ টাকা পর্যন্ত ঘুষ প্রদান করতে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. ওয়াহিদ আলম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা রহমান ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ নূরে আলম। টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।

Tags: