কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ’র অনুষ্ঠিত শোক সভায় অংশ নিতে প্রশাসনিক কেন্দ্র আমিরি দেওয়ানে পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তিনি আমিরি দেওয়ানে যান তিনি। এর আগে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার ফ্লাইটে কুয়েত যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে কুয়েতের আমিররের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু কুয়েতের মহামান্য আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ'র ইন্তেকালে ১৮ ডিসেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।’
এ উপলক্ষে সোমবার বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–জাবের আল–সাবাহ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আমিরের মৃত্যুর ঘোষণায় বলা হয়, ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত...কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–জাবের আল–সাবাহ মারা গেছেন।’
শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–জাবের আল–সাবাহ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সৎভাই ও তৎকালীন আমির শেখ সাবাহ আল–আহমদ আল–জাবের আল–সাবাহর মৃত্যুর পর কুয়েতের আমির হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ নাওয়াফ। এর আগে ২০০৬ সালে শেখ নাওয়াফকে দেশটির পরবর্তী আমির হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।