মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্কঃ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধে ওষুধ প্রশাসন কিছু নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধে করণীয় বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা অতীব জরুরি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বা গ্রহণ করা; ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত সময় ও নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বা গ্রহণ করা; শারীরিকভাবে সুস্থ অনুভব করলেও অ্যান্টিবায়োটিকের পূর্ণকোর্স সম্পন্ন করা, কোনো কারণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া; সকল অ্যান্টিবায়োটিক নির্দেশিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা; নিয়মিত হাতধোয়া, প্রতিনিয়ত অসুস্থ রোগীর সংস্পর্শে না থাকা এবং সময়মত সবগুলো টিকা গ্রহণের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।
এজন্য খুচরা ঔষধ বিক্রয়কারিদের প্রতি কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন। নির্দেশনা হলো, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় না করা; রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত পূর্ণকোর্স অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করা; অ্যান্টিবায়োটিকের ক্রয়-বিক্রয়ের রেজি্স্ট্রার এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সংরক্ষণ করা; বিক্রয়কৃত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যাচ নম্বর উল্লেখপূর্বক ক্যাশ মেমো প্রদান করা; সকল অ্যান্টিবায়োটিক নির্দেশিত তাপমাত্রায় যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা এবং অ্যান্টিবায়োটিকসহ কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় না করা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিশ্বজুড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। ফলে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে রোগ দীর্ঘস্থায়ীসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। যখন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে অকার্যকর হয় বা জীবাণুনাশে বা প্রতিরোধে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয় তখন জীবাণুগুলো উক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধী (রেজিস্ট্যান্স) হয়ে উঠে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ৩০-০৬-২০১৬ ইং/মো: হাছিবুর রহমান