muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

ডিসেম্বরে বাড়ল ১৭% রেমিটেন্স

ডিসেম্বরে বাড়ল ১৭% রেমিটেন্স

বৈধ উপায়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে সরকার নগদ প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে। তফসিলি ব্যাংকও এর সঙ্গে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ পর্যন্ত যোগ করে প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে। রেমিটেন্স পাঠাতে অন্যান্য শর্তও শিথিল করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর থেকে এক দিনে যে কোনো অঙ্কের রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কাগজপত্র জমার বাধ্যবাধকতাও আর রাখা হয়নি। ফলাফল চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে প্রবাসীরা ১০ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। রেমিটেন্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি বজায় রেখে ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের প্রবাস আয়ী দেশে এসেছে, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বেোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রেমিটেন্সের হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।

এর আগে ২০২৩ সালের শেষ মসে আসা এই রেমিটেন্স আগের বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিটেন্স বাবদে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার দেশে এসেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই সময়ে প্রবাসীরা ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন। প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর গত বছরের নভেম্বর শেষে দেশে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়, আগের বছরের একই মাসের চেয়ে যা ২১ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, ২০২৩ বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করলেও পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে কমে গিয়েছিল। পরের মাসগুলোতেও সেই ওঠানামা চলে। শেষ পর্যন্ত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষ হয় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে। গত অর্থবছর সব মিলিয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পেয়েছিল বাংলাদেশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে ফের ধাক্কা লাগে প্রবাস আয়ে। জুলাইয়ে রেমিটেন্স কমে হয় ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। পরের মাস অগাস্টে আগের বছরের চেয়ে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দেশে আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা আরও কমে ১৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার হয়।

ডলারের বিনিময় হার এবং প্রণোদনা বাড়ানোর উদ্যোগে অক্টোবরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। ওই মাসে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩০ শতাংশ। পরের মাস নভেম্বরে রেমিটেন্স বাড়লেও তা আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে চার কোটি ৭৫ লাখ ডলার কম ছিল। ডিসেম্বরে ফের ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হল।

Tags: