আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সারা পৃথিবী জুড়েই দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি জটিল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধ বাড়ছে, পণ্যের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। দ্রব্যমূল্য বাড়লে তার দায় সরকার এড়াতে পারে না।’
রোববার (২১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব ও কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাবে এটি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। এটা নতুন কিছু না। আমরা কারোর স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মত অপেক্ষা করছি বিষয়টা মোটেও এমন না। সরকারকে একের পর এক অভিনন্দন বার্তায় হিংসার আগুনে জ্বলছে বিএনপি।’
এ সময় বিএনপির কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন,‘বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা কেউ দেখেনি এবং তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট না। একবার তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, আবার নির্বাচন বানচালের জন্য আন্দোলন করে। আসলে বারবার তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে তারা রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি-তামাশায় পরিণত করেছে।’
বিএনপির আন্দোলন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন এখন তাদের দেশে-বিদেশে হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত করেছে। আসলে তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে এখন ঘোড়াও হাসে। মূলত তাদের তথাকথিত আন্দোলন দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে আমি মনে করি।’
আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কাজে জড়ালে ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।