নাটোরে এক স্কুলছাত্রীকে গণধধর্ষণের দায়ে পাঁচজনকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের মাহাবুল ইসলামের ছেলে পল্লব, আলাউদ্দিনের ছেলে শোভন , আব্দুর রহিমের ছেলে ছাইদুর রহমান, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ওম্বর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং মিজাউল ইসলামের ছেলে টুটুল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে এলাকার ৫ যুবক নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রয়ারিু মধ্যরাতে ওই ছাত্রী বাড়িতে নিজের শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে থাকাকালে কৌশলে এই ৫ যুবক দরজার ছিটকানি খুলে মুখে মাফলার বেঁধে তাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাকে একে একে পাঁচজন ধর্ষণ করে। পরে তার বাবা মেয়ের মুখে বিস্তারিত শুনে বড়াইগ্রাম থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পাঁচজনের নামেই আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম ঘটনার সময় আসামিদের বয়স কম বিবেচনায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে আটকাদেশ দেন।
মামলার বাদী শাহজাহান সরদার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সময় বয়স কম থাকলেও বর্তমানে প্রত্যেক আসামির বয়স ৩০ বছরের বেশি। তাদের যে বিচার করা হয়েছে তাতে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আমিল করবেন।