muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

কারওয়ান বাজারে কোকেন উদ্ধার মামলায় পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন

কারওয়ান বাজারে কোকেন উদ্ধার মামলায় পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন

এগারো বছর আগে তিন কেজি কোকেন উদ্ধারের মামলায় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ান পাবলোররাফেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফ নামে এক পাকিস্তানী নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।

জানা গেছে, ১১ বছর আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বেস্ট ওয়েষ্টর্ন হোটেল লাভিঞ্চি থেকে পেরুর এই নাগরিককে তিন কেজি কোকেনসহ গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এদিকে একই মামলায় বাংলাদেশি নাগরিক মো. মোস্তফা, শামসুল হক, হালিমা খান সাদিয়া, সাবরিনা নাসরিন তানিয়া ও মো. আশরাফ নাসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে খালাস করেছেন আদালত।

রায় ঘোষণা আগে গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামি তানিয়া জামিনে থেকে হাজিরা দেন। তবে অপর চার আসামি পলাতক রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ জুন রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওয়েস্টার্ন হোটেল লাভিঞ্চি হোটেলের সপ্তম তলায় উপস্থিত হন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ওই হোটেলের ৭০৭ নং রুমে ভিতরে প্রবেশ করে আসামিদের তল্লাশি করেন। এসময় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ানের কাছে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়।

এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদাল ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Tags: