মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্কঃ কিশোগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আগে পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলার বিবরণ পাওয়া গেছে প্রত্যক্ষদর্শী এক স্থানীয় বাসিন্দার জবানিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ওই বাসিন্দা কিশোরগঞ্জ শহরের একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। প্রতিবারের মত এবারও ঈদের জামাতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শোলাকিয়া মাঠের উদ্দেশে রওনা হন।
শোলাকিয়ার জামাত হওয়ার সময় ঠিক ছিল সকাল ১০টায়। আগেই পৌঁছে যাওয়ায় মাঠে না গিয়ে সকাল ৯টার দিকে রেললাইনের কাছে আজিমউদ্দিন হাইস্কুলের গেইটের পশ্চিম পাশে এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ওই ব্যাংকার।
“ওখান থেকে আনুমানিক ১০০ মিটার দূরে ইদগাহের দিকে যাওয়ার পথে চেকপোস্টে হঠাৎ পরপর দুটো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল। আমি ধোঁয়া দেখলাম। কয়েকজন পুলিশ দেখলাম লুটিয়ে পড়ল।”
হামলা হয়েছে বুঝতে পেরে কয়েক সেকেন্ড পর আতঙ্কে উল্টো দিকে ছুটতে শুরু করেন প্রত্যক্ষদর্শী এই যুবক।
“আমি যখন দৌড়াচ্ছি, তখন পেছনে আরও কয়েকটা বোমা ফাটার আওয়াজ হল।”
আজিমউদ্দিন হাইস্কুলের গেইটে ওই পুলিশ চেকপোস্ট থেকে আনুমানিক আড়াইশ মিটার দূরে শোলাকিয়া মাঠে উপস্থিত হাজারো মানুষের মধ্যেও তখন তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।কথা ছিল, বরাবরের মতোই মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ঈদের জামাত পরিচালনা করবেন। কিন্তু এই গোলযোগের মধ্যে তিনি না পৌঁছানোয় শেষ পর্যন্ত স্থানীয় জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শোয়াইবের ইমামতিতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করলে উভয় পক্ষে গোলাগুলি শুরু হয়। তাতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তা হয়ে পড়ে জনশূন্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যাংকার বলেন, সাধারণত স্কুলের গেইটের পথ দিয়েই তিনি প্রতিবছর শোলাকিয়া মাঠে যান ঈদের নামাজ পড়তে।
“বোমাবাজি শুরুর পর আমার আর সাহস হয়নি। এলাকায় ফিরে গিয়ে পাড়ার মসজিদে নামাজ পড়েছি,” বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ০৭- ০৭-২০১৬ ইং/মো: হাছিবুর রহমান