করোনার সনদ জালিয়াতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমদ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
শুনানির সময় ডা. সাবরিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগের বিষয়ে বিচারকের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ওসমান গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। এরপর ওই বছর ২২ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।
তবে গত ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন তিনি কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান।