muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ফুল নিয়ে মেট্রোরেলে ওঠা নিষেধ

ফুল নিয়ে মেট্রোরেলে ওঠা নিষেধ

বলা হয়ে থাকে ভালোবাসার প্রতিশব্দ নাম ফুল। ফুলের সৌন্দর্যের সঙ্গে ভালোবাসার তুলনা করতেই অনেকে এই উপমা ব্যাবহার করেন। তাই অনেক বিখ্যাত কবিরাও লিখেছেন, বলেছেন, ভালোবাসার প্রামাণ্য নিদর্শন ফুল। তবে ভালোবাসার দিনে (১৪ ফেব্রুয়ারী) এই ফুল নিয়ে মেট্রোরেলে ওঠায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দেখা যায়, বইমেলার প্রবেশপথ লাগোয়া মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ‘ফুল নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ নিষেধ’ লেখা একটি নোটিশ টানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়।

এমন নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে মানুষজনের মধ্যে। মেট্রোরেলে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কি একটি ফুল নিয়েও মেট্রোরেলে উঠতে নিষেধ করেছে।

এছাড়া অনেকে বলেছেন, আজকের নেট দুনিয়ার যুগে ঢাকায় মেট্রোরেল শুরুর পর থেকেই সকলের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। অনেকে প্রতিদিন মেট্রোরেলে ভ্রমণের পাশাপাশি ভিডিও ছবি ও রিল টিকটকজ ইত্যাদি বানিয়ে থাকেন। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচুর ভিউ ও লাইক পায়। তাই ভালোবাসার দিনে অনেকে হয়তো নিজের পছন্দের মানুষকে নিয়ে মেট্রোরেলে ফুল নিয়ে েএসব ভিডিও তৈরি করতে পারেন, এতে যাত্রী সাধারণের যাতে অসুবিধা না হয় এর জন্যই এই ব্যবস্থা হয়তো করা হয়েছে।

তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানীর শাহবাগে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ফুলের বাজার। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রচুর ফুল বিক্রি হয় এখানে। মেট্রোরেলে এই ফুলের বোঝা নিয়ে যাতে কেউ উঠতে না পারে সেজন্য এই নোটিশ টানানো হয়েছে।

এর আগে, রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ান বাজার স্টেশনে কাঁচা শাক-সবজি ও মাছ-মাংস নিয়ে মেট্রোরেলে প্রবেশে নিষেধ করে নোটিশ টানানো হয়। সেখানে বলা হয়, কাঁচা শাক-সবজি, মাছ ও মাংস পরিবহণ নিষেধ।

মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তী সময় ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের সবগুলো থেকেই যাত্রী উঠা-নামা করে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে।

এবারই প্রথম মেট্রোরেলে করে বইমেলায় আসার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রন্থানুরাগীরা। যাত্রীর চাপ বাড়ায় ১০ মিনিটের পরিবর্তে ৮ মিনিট বিরতিতে ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Tags: