মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন শোলাকিয়া ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
তিনি বলেন, ‘দেশে আইএস বলে কিছু নেই। এখানে জামায়াত-শিবির আইএসের প্রোক্সি দিচ্ছে। যেখানে জামায়াত-শিবির আছে, সেখানে আইএসের প্রয়োজন পড়ে না।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার বিকেলে এক যৌথসভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। আগামী ১১ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ সফল করার জন্য যৌথসভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, নিম চন্দ ভৌমিক প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গুলশানের রেস্টুরেন্টে এবং শোলাকিয়া ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলার বিষয়ে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, ‘ধর্মের নামে যারা এই অপব্যাখ্যা দিচ্ছে, তা ইসলামের বিকৃত ব্যবহার। এরা ধর্মের নামে এটা করছে- তা পরিষ্কার। এটা তারা ঘোষণা দিয়ে করছে, এখানে লুকোচুরি নেই। এটা ধর্মের অপব্যবহার। তাদের কী শাস্তি দেবেন? মৃত্যুদণ্ড? মৃত্যুদণ্ড দিলে তো তারা খুশি। কারণ তারা মনে করবে বেহস্ত যাবার পথ সহজ করে দিল।’
তিনি বলেন, ‘তাদের মনে ইসলামের অপব্যাখ্যা গেঁথে গেছে। সুতরাং তাদের বুদ্ধিভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে ফেরাতে হবে। এটা কেবল পারেন আমাদের দেশের ওলামাকেরাম। সবার দায়িত্ব আছে। কিন্তু আলেমদের বেশি দায়িত্ব আছে, কারণ এখানে ইসলামের অপব্যাখ্যার বিষয় আছে।’
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, ‘তারা জানে এভাবে সরকারের পতন সম্ভব নয়, তাদের এখন মূল লক্ষ্য আতংকিত করা। কারণ আতংকিত করতে পারলে প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তাই তারা চাচ্ছে আতংক ছড়াতে। আসলে আতংকিত হবার কিছু নেই। এখানে জামায়াত-শিবির আইএসের প্রোক্সি দিচ্ছে। বুঝতে পারছি না জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে এত ভয় কেন?’
এই আলেম বলেন, ‘এদের প্রতিরোধ করতে হলে আলেমদের সক্রিয় করতে হবে। সেই সব আত্মঘাতীদের কাছে পৌঁছাতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে- তারা যা করছে, তা করলে বেহেস্ত পাবে কি না? তাদের বুঝাতে হবে, ইসলাম মানে ভালোবাসা।’