muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

করিমগঞ্জ

করিমগঞ্জে কৃষক অবহিতকরণ কর্মশালা ও উঠান বৈঠক

করিমগঞ্জে কৃষক অবহিতকরণ কর্মশালা ও উঠান বৈঠক

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এর পরিচালক কৃষিবিদ মো. রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ 'এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবেনা'। সে নির্দেশনা অনুযায়ী আপনারা আরও বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারো পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা ও উৎপাদন’ শীর্ষক কর্মশালা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পৌরসভার আয়লা এলাকায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্ব ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রিফাত আলম জনির সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা খামার বাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং) এর পরিচালক কৃষিবিদ মো. রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ মো. জিয়াউর রহমান, জেলার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোঃ শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক, করিমগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ুম, দৈনিক কালের কন্ঠ ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি শফিক আদনান, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ইবনে আব্দুল্লাহ শাহজাহান ও কৃষক রতন মিয়া বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় শতাধিক কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পৌরসভার আয়লা এলাকার কৃষক রতন মিয়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনীর মানচিং পেপার ব্যবহার করে ৩৩ শতাংশ জমিতে করলা ও ৩০ শতাংশ জমিতে শশা চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি এ প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছেন। তিনি জানান, জমিতে মানচিং পেপার ব্যবহারের ফলে অন্যান্য কৃষকের জমির তুলনায় তার জমির গাছগুলো খুবই রিষ্ট-পুষ্ট। আগাছার প্রাদূর্ভাব নেই, মাটির আদ্রতা পরিমিত। জমিতে সার ও কীটনাশক খুবই কম পরিমানে ব্যবহার হয়েছে। সর্বোপরি চাষের ব্যয় আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষকদের মাঝে উদ্ভাবিত আধুনিক প্রযুক্তিগুলো পৌঁছে দেয়ার লক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে কৃষক প্রশিক্ষণ। কৃষকরা এই সব আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলো প্রয়োগ ও ব্যবহার করে অল্প পরিশ্রমে, কম খরচে ও বিষমুক্ত দ্বিগুণ পরিমাণ ফসল উৎপাদন করেত পারবেন। এতে করে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি ভাবে দেশের কৃষিখাত আরো শক্তিশালী হবে।

Tags: