সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্যালাইন খেয়ে জিমহা (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু ও একই পরিবারের আরও চারজন অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বেলকুচি থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের (নিরস্ত্র) মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলকুচি উপজেলার বৈলগাছী গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের মেয়ে জিমহাসহ পরিবারের পাঁচজন স্যালাইন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে হাসপাতালে নেওয়ার পর জিমহার মৃত্যু হয়।
গ্রেফতাররা হলেন একই গ্রামের মুদি দোকানদার আমিরুল ইসলাম, সাগর, স্যালাইনের পাইকারি বিক্রেতা হাফিজুল ইসলাম ও উপজেলার সমেসপুর বাজারের অনুমোদনহীন নাফিস টেস্টি এলাইন (স্যালাইন) প্রস্তুতকারি আনিসুর রহমান।
নিহত শিশুর নানা রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই জিমহা মারা গেছে। আমার মেয়েসহ আরও চারজন গুরুতর অসুস্থ। তাদের সিরাজগঞ্জ থেকে মঙ্গলবার বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েরছে। তারা এখন সেখানে ভর্তি রয়েছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুদি দোকানদার আমিনুল ইসলামসহ চারজনকে থানায় আনা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই স্যালাইনের অনুমোদন নেই বলে জানা যায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এদিন সকালেই নিহত ওই শিশুর বাড়ি থেকে স্যালাইনের খালি মোড়ক গুলো সংগ্রহ করা হয়। এ মোড়কগুলোর মধ্যে নাফিস টেস্টি এলাইন নামের অনুমোদনহীন স্যালাইন পাওয়া যায়। যা স্থানীয় ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন হয়ে আসছিল। পরে কারখানায় থাকা অবিক্রিত স্যালাইন গুলো জব্দ করা হয়।