muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

ফেসবুক কমেন্টের কারণে প্রাণ গেল যুবকের

ফেসবুক কমেন্টের কারণে প্রাণ গেল যুবকের

ফেসবুকে কমেন্ট করা নিয়ে যশোরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ আকাশ (২১) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে শহরের শংকরপুরের একটি বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।

জানা গেছে, আকাশ শংকপুর বটতলা এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহতের পিতা তোতা মিয়া জানান, ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে একই এলাকার তানভিরের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এর জেরে তানভির আকাশকে হোয়াটাসঅ্যাপে হত্যার হুমকি দেয়। মঙ্গলবার রাতে আকাশকে ফোন করে ডেকে নিয়ে সাব্বির ও তানভিরসহ ১০ থেকে ১২ জন মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আকাশের মৃত্যু হয়। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আকাশের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যায় জড়িতদের নাম-পরিচয় জেনে তাদের আটকে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েক যুবককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশে একাধিক টিম। তবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগেও ফেসবুকে কমেন্টের জেরে সংঘাত, ছুরিকাঘাতে তিনজন নিহতের ঘটনা ঘটেছিল গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল গ্রামে।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম প্রথম আলোকে বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর নরসিংদীর পার এলাকার একজন ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন। সেই পোস্টে শীতলক্ষ্যা নদীর অপর পারে গাজীপুরের কাপাসিয়া প্রান্তের কয়েক যুবক সেই পোস্টের বিরোধিতা করে সেখানে কমেন্ট করেন।

এর জেরে দুই পক্ষের যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছুরিকাঘাত ও হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাঈম ও ফারুকের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

Tags: