কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় এক তরুণীকে (১৮) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি মেহেদী হাসান (২২) ও আতিকুর রহমান ওরফে মাহিনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২ মার্চ) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় কিশোরগঞ্জ র্যাব ক্যাম্প।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি (ভূইয়াবাড়ি) এলাকার মো. মাসুমের ছেলে মেহেদী হাসান (২২) ও একই উপজেলার তারাকান্দি (আকন্দবাড়ি) এলাকার মোখলেছ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান ওরফে মাহিন (২২)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে উপজেলার তারাকান্দি বাজারে ঘুরতে যান দুই বন্ধুসহ ওই তরুণী। সেখানে যাওয়ার পর অটোরিকশা আটকিয়ে কয়েকজন যুবক তাদের তারাকান্দি ফাজিল মাদরাসার মাঠে নিয়ে যান। পরে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এসময় ভয় দেখিয়ে মাদরাসার মাঠের পাশে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে গিয়ে হৃদয় (৩২), মেহেদী হাসান (২২), বাবু (২২), মো. কাউসার আহম্মেদ (২৪) ও জুবায়েদ হাসান শুভ (১৮) মিলে পর্যায়ক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পরে খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পালানোর সময় মো. কাউসার আহম্মেদ ও জুবায়েদ হাসান শুভকে আটক করে। ভিকটিম (তরুণী) উদ্ধারসহ সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। পরে পুলিশের অভিযানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তোফাজ্জল হোসেন রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিরা আটক থেকে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান (২২) ও ৫ নম্বর আসামি আতিকুর রহমান ওরফে মাহিনের (২২) অবস্থান শনাক্ত করা হয়। শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর জেলার টঙ্গি পূর্ব থানাধীন জামাই বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১ এর অভিযানিক দল। অভিযানে আসামি মেহেদী হাসান (২২) ও আতিকুর রহমান ওরফে মাহিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেহেদী হাসান (২২) ও আতিকুর রহমান ওরফে মাহিনের (২২) বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকুন্দিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।