muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

অভিশ্রুতি অথবা বৃষ্টির লাশ হস্তান্তর হবে আদালতের সিদ্ধান্তে

অভিশ্রুতি অথবা বৃষ্টির লাশ হস্তান্তর হবে আদালতের সিদ্ধান্তে

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে আগুনে নিহত নারী সাংবাদিকের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে তার ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিচয় জটিলতার কারণে ওই নারীর মরদেহ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত আদালত নেবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ধর্ম ও পরিচয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ওই নারীর মৃতদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে ৪৪ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ৪৬ জনের মধ্যে একজন একটি গণমাধ্যমের নারী কর্মী। ওই সাংবাদিককে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে চিনতেন সহকর্মীরা। তার ফেসবুক পেজেও এই নাম উল্লেখ আছে।

তবে এই নারী সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে আসেন সাবরুল আলম সবুজ নামে এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, নিহত নারী সাংবাদিক তার মেয়ে এবং নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নয়, প্রকৃত নাম বৃষ্টি খাতুন।

কর্মস্থলে দেওয়া বায়োডাটা অনুযায়ী তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী। বায়োডাটা অনুযায়ী পিতার নাম অভিরূপ শাস্ত্রী এবং মায়ের নাম লিখেছেন অপর্ণা শাস্ত্রী। তিনি ইডেন মহিলা কলেজে দর্শন বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন। ২০১৫ সালে এসএসসি ও ২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।

‘অভিশ্রুতির’ বাবা পরিচয় দেওয়া সাবরুল আলম সবুজ এনআইডি দেখিয়ে বলেন, ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর’ আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তার মায়ের নাম বিউটি বেগম। আর অভিশ্রুতি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ‘অভিশ্রুতি’ তার মেয়ে। তিন মেয়ের মধ্যে বড় সে।

এদিকে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ওই নারী সনাতন ধর্মের। তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী, তার বাড়ি ভারতে। সে বিভিন্ন সময় কালিমন্দিরে এসে পূজা করতো। তারা সৎকারের জন্য নারীর দেহটি নিতে চান।

ওই নারীর পরিচয় নিয়ে ধ্রুমজাল দেখা দিলে কারো কাছেই হস্তান্তর করেনি। পুলিশ জানিয়েছিল, আজ শনিবার মরদেহ থেকে এবং সাবরুল আলম সবুজের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। বাবা পরিচয় দেওয়া সবুজের নমুনার সঙ্গে ম্যাচ করলে মরদেহ তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার ওই নারীর বাবা দাবি করে কুষ্টিয়া থেকে আসা সবুজ মিয়ে বলেন, এটি তার মেয়ে। তার নাম বৃষ্টি খাতুন। অন্যদিকে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, মেয়েটি সনাতন ধর্মের। তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী, তার বাড়ি ভারতে। এ কারণে ওই নারীর মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। মর্গে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

Tags: