ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (আইজিপি) সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪-এর শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে রোববার (৩ মার্চ) ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলনে আইজিপি এ নির্দেশনা দেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মামলার সাজার হার আরও বাড়াতে কাজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। স্পর্শকাতর মামলার সাজা নিশ্চিত করার জন্য তিনি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, পুলিশের সার্বিক কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের উৎকর্ষের ফলে ২০২২ সালে সারাদেশে মামলার সাজার হার ১৭ ভাগ হতে ১১ ভাগ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। তিনি বর্তমানে মামলার সাজার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ও সম্মেলন উপ-কমিটির সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি)এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (গ্রেড-১) মো. মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের ফলে পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা বেড়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জনআস্থা অর্জনের লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সর্বমহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অভিযাত্রী পুলিশ বাহিনী এ কথা উল্লেখ করে আইজিপি তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল পুলিশ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
সভায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারকরণ, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী পুলিশিং ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিভিন্ন উইং, সিআইডি, পিবিআই এবং এসবি সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও অপারেশনাল বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয়।