সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সৌম্য সরকার আউট নাকি নটআউট তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কে মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছিল কিছুটা সময়ের জন্য। প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকটা সময় খেলা বন্ধ রাখেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। যদিও এরপর তাদের মেনে নিতে হয়েছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
১৬৬ রান তাড়া করছে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ঘটনা। বিনুরা ফার্নান্দোর শর্ট লেংথের বলে পুুল করেছিলেন সৌম্য। বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে।
শ্রীলঙ্কার আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেল আঙুল তুলে দেন। সৌম্য সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। মনে হচ্ছিল, বল হয়তো ব্যাটে স্পর্শ করেনি।
কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় অন্যরকম। আল্ট্রা-এজে দেখা যায় স্পাইক। তবে টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান বলেছেন, স্পাইক দেখানোর সময় বল ও ব্যাটের মধ্যে ‘গ্যাপ’ দেখেছেন তিনি। স্পাইক এসেছে বল ব্যাটের বাইরে চলে যাওয়ার পর। ফলে সৌম্যকে নটআউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার। মাঠের আম্পায়ার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন।
স্বাভাবিকভাবেই তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা দল। আম্পায়ার শরফুদ্দৌলাকে ঘিরে ধরেন তারা। অনেকক্ষণ তারা প্রতিবাদ করে ম্যাচ বন্ধ রাখেন। লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড গিয়েছিলেন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদের কাছেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে, নটআউট থাকেন সৌম্য।