এবার ইফতারে বেগুনি খাওয়া বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। এ সময় বাজারে অস্থিরতার জন্য বাজার কমিটিকেই দায়ী করেন তিনি।
বুধবার (১৩ মার্চ) কারওয়ানবাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ডিম ও মুরগি বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের কি বেগুনি খেতেই হবে? আমরা যদি বেগুন কেনা একটু সীমিত করে দিই, তা হলে যে বেগুন ১০০ টাকা হয়েছে, পর দিনই তা ৪০ টাকায় পাওয়া যাবে। ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভোক্তারা কিনে বলেই দাম বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই— ইফতারে তেলে ভাজা বেগুনি কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আমি ডাক্তার নই, কিন্তু সব ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে এই বেগুনি না খাওয়ার পরামর্শ দেবেন। গণমাধ্যমগুলো ইফতারের যে পসরা প্রচার করে, সেখানে যে তেলে ভাজা বেগুনি দেখানো হয় এবং যে পরিমাণ ধুলোবালি সেখানে পড়ে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
এ সময় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রমজানসহ সারা বছর কাঁচাপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা ও যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিতে, কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নিবন্ধন বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে।
এদিকে বেপরোয়া সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সংযমের মাস রমজানের বাজারে অস্থিতিশীলতায় নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একদিকে ক্রেতার চাপ যেমন বেশি, অন্যদিকে বেপরোয়াভাবে হচ্ছে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।
বাজারে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ শসা, বেগুনের দাম পার করেছে সেঞ্চুরি। আকাশছোঁয়া দাম মুদি পণ্যেরও। খেসারির ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ছোলা ১২০ আর দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫৫ টাকায়। সব ক্ষেত্রেই আছে দামের উত্তাপ। চিনি কিনতে দিতে হবে ১৫০ টাকা।
ইফতারে রোজাদারদের কাছে বিশেষ কদর রয়েছে নানা ধরনের শরবতের। কিন্তু লেবুসহ শরবতের বিভিন্ন উপকরণের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্য কিনতে গিয়ে গলা শুকিয়ে আসার জোগাড় ভোক্তাদের। এমনকি ইসবগুলের ভুসির দাম পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে ৩০০ টাকা।