লাইফস্টাইল ডেস্কঃ লোক মুখে প্রচলিত সুন্দরী মেয়েদের বোধ-বুদ্ধি নাকি হাঁটুতে থাকে। তবে এই প্রবাদ বুঝি এবার সত্যি হতে চলেছে। আর তার নেপথ্যে দায়ী ‘রূপের যাদু কাঠি লিপস্টিক’।
যুগ যুগ ধরে রূপচর্চার প্রসাধনী হিসাবে মেয়েরা ব্যবহার করে আসছে লিপস্টিক আর তাতেই নাকি রয়েছে যত গলদ। অন্তত গবাষক অ্যালেকজান্ডারের তথ্য তো সেই কথাই বলছে।
সম্প্রতি এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেকটিভ জার্নালে এই গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রফেসার অকল্যান্ডের এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা ১২ জন তরুণীর ২২টি ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ও লিপগ্লস সংগ্রহ করে একটি গবেষণা চালায়। আর এই গবেষণাতে প্রমাণিত, ‘লিপস্টিক ব্যবহারে নারীদের বুদ্ধি কমে যেতে পারে। আমাদের আচরণ ও শেখার ক্ষমতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যার আসল কারণ হলো লিপস্টিকে থাকে ক্ষতিকারক সীসা।’
গবেষকদের মতে, লিপস্টিকে খুব কম মাত্রার সীসা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সামান্যতম সীসা জমতে জমতে একদিন মানুষের বুদ্ধি ও আচরণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও এটি মানসিক স্থিতির উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত গর্ভবতী মায়েরা সীসাযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করলে গর্ভজাত সন্তানের ওপর তার প্রভাব পড়তে পারে।
চিরকাল মেয়েরা তাদের রূপের ধার বাড়তে কখনো পান খেয়ে লাল টুকটুকে করেছেন ঠোঁট, কখনো বা রঙিন কাগজের সাহায্য নিয়েছেন। সাজে পরিপূর্ণতা আনতে লিপস্টিকের তাদের চাই চাই। কিন্তু সেই প্রসাধনীতে থাকে যদি নির্বোধ হওয়ার জীবন- তখন আর কি করা যায়। তাই এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা পরামর্শ দেন, লিপস্টিক বা লিপগ্লস ব্যবহারের আগে এর উপাদান সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়া একান্ত জরুরি।