লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ বয়সটা যদি ধরে রাখা যেত তবে দারুন হতো তাই না! কাগজে কলমে বয়স কমানো গেলেও, ত্বকে কিন্তু তা সম্ভব হয় না। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে। এটি অবধারিত। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য কত কিছুই না করা হয়। কত প্যাক, কত ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এত কিছু ব্যবহার করার পরও কি শেষ রক্ষা হয়? ত্বকের তারুণ্য কি ধরে রাখা সম্ভব হয়? তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ত্বকের বাহ্যিক রূপচর্চার পাশাপাশি আভ্যন্তরীণ সুস্থতা প্রয়োজন। কিছু খাবার আছে যা আপনার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। আসুন তাহলে পরিচিত হওয়া যাক সুপার ফুডগুলোর সাথে।
১। বাদাম
হার্ভাড স্কুল অব পাবলিক হেলথের মতে, বাদামে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা দেহের কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে বাদাম উচ্চ ক্যালরি এবং উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার হওয়ার সত্ত্বেও এটি ওজন বৃদ্ধি করে না। এমনকি আমাদের শরীর ২০% এর বেশি বাদাম গ্রহণ করতে পারে না।
২। গাজর
ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে গাজর। এটি ভিটামিন এ এর উৎস যা কোষের যেকোনো ক্ষতি, ত্বকের কালো দাগ ও অস্বাভাবিক রঙ ইত্যাদি সমস্যা সারিয়ে তোলে। নিয়মিত গাজর খেলে তা ত্বককে উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।
৩। হলুদ
অ্যান্টি এজিং খাবারগুলোর মধ্যে হলুদ অন্যতম। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান পরিপাক প্রক্রিয়াকে স্লো করে। এর সাথে সাথে বয়স বৃদ্ধি হ্রাস করে থাকে।
৪। লাল আঙ্গুর
লাল আঙ্গুরের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখে। Grotto s বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখেছেন যে, লাল আঙ্গুরে থাকা উপাদান ইউভি রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। খাবারের তালিকায় লাল আঙ্গুর রাখুন।
৫। পালংশাক
শাক খেতে পছন্দ করেন না? অথচ পালং শাক রুখে দেবে আপনার ত্বকের বয়স। পালং শাক লুটেইন ও জিএক্সাথিনের অন্যতম উৎস। যা বার্ধক্যজনিত মানসিক পতন কমায়। এর সাথে সাথে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে।
৬। আপেল এবং নাশপাতি
আপেল এবং নাশপাতি ত্বকে বলিরেখা পড়া, রিংকেল রোধ করে। আপেলে থাকা পলিফেনল ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে রক্ষা করে এবং অকাল বার্ধক্যে হওয়া প্রতিরোধ করে।
৭। ডার্ক চকলেট
Cosmetic Dermatology এক জার্নালে প্রকাশ করেছেন যে, কোকো বিনসে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফ্লাভোনালস থাকে যা ত্বককে ইউভি রশ্নি থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ডার্ক চকলেট ত্বক ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি শরীরের বাড়তি চর্বি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ১৩- ০৭-২০১৬ ইং/মো:হাছিব