লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ গর্ভধারণ প্রতিটি নারীর জন্য অনেক আনন্দের বিষয়। মাতৃত্ব প্রতিটি নারীর জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করে। কিন্তু অনেক সময় মায়েরা বুঝতে পারেন না তিনি গর্ভবতী কিনা। অনাগত শিশুর নিরাপত্তা চিন্তা করে গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস প্রত্যেক নারীকে থাকতে হয় সাবধান। এই সময়ের ছোট একটি ভুল গর্ভপাতের মত মারাত্নক ঘটনাও ঘটাতে পারে। তাই সন্দেহ হওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা করে নিন আপনি গর্ভবতী কিনা। সহজ কিছু উপায়ে বাসায় করে নিতে পারেন প্রেগনেন্সি টেস্ট।
১। চিনি
বেশ প্রচলিত পুরাতন নির্ভরযোগ্য একটি পদ্ধতি হল চিনি। একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ সকালের প্রথম ইউরিন এবং তার সাথে এক টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর লক্ষ্য করুন চিনি ইউরিনের সাথে মিশে গেছে কিনা? যদি মিশে যায় তবে বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী নন, আর যদি ইউরিন জমাট বেঁধে যায় তবে আপনি বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী।
২। টুথপেস্ট
আপনি গর্ভবতী কিনা এটা বোঝার সবচেয়ে সহজ এবং ঘরোয়া উপায় হল টুথপেস্ট। একটি পরিষ্কার কন্টেইনারে আপনার সকালের ইউরিনের সাথে অল্প কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। যদি ইউরিন নীল রং ধারণ করে অথবা ফেনা উঠে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। তবে হ্যাঁ অব্যশই সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন।
৩। সাবান পানি
সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে সাবান পানি মিশিয়ে নিন। ইউরিন এবং সাবান পানি মিশে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি মিশ্রণটিতে বুদবুদ উঠে। তবে আপনি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরীক্ষাটি সবসময় সঠিক ফল দিয়ে থাকে না। এটি করার পর আপনি অন্য আরেকটি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
৪। ভিনেগার
সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। যদি এর রং পরিবর্তন হয় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। আর যদি কোন রং পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনি গর্ভবতী না।
৫। বেকিং সোডা
দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে এক টেবিল চামচ ইউরিন মিশিয়ে নিন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি দেখেন মিশ্রণে বুদবুদ উঠছে তবে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী।
৬। সরিষা পাউডার
বাথটাব বা এক বালতির পানির মধ্যে দুই কাপ সরিষা গুঁড়ো মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার এই পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন। সরিষা আপনার শরীরকে গরম করে দিয়ে থাকে। যার কারণে ৪-৫ দিনের মধ্যে আপনার মাসিক হয়ে যাবে। আর আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন, তবে মাসিক বন্ধ থাকবে।
নির্দিষ্ট সময় মাসিক না হওয়া অথবা মসিকের সময় যদি স্বাভাবিক রক্তপাতের বদলে খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায় এর সাথে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, বার বার প্রস্রাবের চাপ ইত্যাদি লক্ষণগুলো অবহেলা করবেন না। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত প্রেগনেন্সি টেস্ট করান।