মোঃ আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গতকাল ১৫ জুলাই শুক্রবার সকালে, কিশোরগঞ্জ সামাজিক আন্দোলন, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সমকাল সূধী সূহৃদ সমাবেশ, মানবাধিকার নাট্য পরিষদ, টিআইবিসহ একুশটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় মানববন্ধন করা হয় জঙ্গী বিরোধী ও সন্ত্রাসদের প্রতি ঘৃণার প্রতীক হিসেবে কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে মৌন প্রতিবাদ ও মানববন্ধন শেষে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের পাশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ২ পুলিশ কনস্টেবল স্থানীয় ঝর্ণা রানীর বাড়ি পর্যবেক্ষন করে সাংবাদিকদের সাথে মত প্রকাশের সময় সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়ামের সদস্য ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য বলেন সন্ত্রাসীরা জাতীয় ২ দলের কাদা ছোঁড়াছুড়ির সুযোগ নিয়ে দেশের আশঙ্কাময় পরিবেশের সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
জঙ্গীরা যখন একে একে হামলা শুরু করে তখন আওয়ামী ও বিএনপি একজন আরেকজনকে দোষারূপ শুরু করেন। পরে সাম্প্রদায়িক পরিচয় দিয়ে হামলা শুরু করে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। এসবের মূলে রয়েছে ৭১ পরাজিত সৈনিকরা। তারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাদের অবস্থান প্রকাশ করে। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই একের পর দেশের কর্ণধারকে রুদ্ধশ্বাসে আবদ্ধ রেখে তাদের ফাঁয়দা লুটে নেয়। এখন আর সেদিকে না যেয়ে সরকারকে এখনই সচেতন ও সহযোগিতামূলক আচরন দেখাতে হবে জাতির স্বার্থে। পরে তিনি বলেন শহীদ ২ পুলিশকে বীর উপাধি দিয়ে জাতিয় শহীদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং লড়াকু সৈনিক ওসি তদন্ত মোরশেদ উদ্দিন ও তার সহযোগি পুলিশ সদস্যদেরকে বিশেষ পুরষ্কারে পুরস্কৃত করতে হবে। কেননা দুটি প্রাণের বিনিময়ে লাখো মানুষের প্রাণ বেঁচে যায় এবং দেশ সত্যিকারের সন্ত্রাসীদেরকে চিনতে পারে লড়াকু সৈনিক ওসি তদন্ত মোরশেদ উদ্দিন ও তার সহযোগি পুলিশ সদস্যদের। আসুন আমরা দেশকে আবার ৬৯, ৭০ ও ৭১ মতো একসাথে হাতে হাত রেখে জঙ্গীবাদ রুখে দাঁড়াবো। আমরা আমাদের ছেলেদেরকে ধর্ম বিষয়ে সঠিক জ্ঞান দিয়ে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলবো।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৬-০৭-২০১৬ইং/ অর্থ