অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলমান প্যালেষ্টাইন -ইজরায়েল যুদ্ধে গাযার লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুভিটা হারিয়ে একদিকে যেমন মানবেতর জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে কেউবা স্বপরিবারে সবাইকে হারিয়ে, কেউবা সন্তান হারিয়ে আজ বিভীষিকাময় এক কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে আশ্রয় নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে।
ঈদের এই আনন্দঘন মূহুর্তে তাদের স্বজন হারানো সীমাহীন কষ্ট ও অব্যাক্ত যন্ত্রনা উপলব্ধি করে এসকল শরনার্থীদেরকে মিশরে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন চ্যারাটি ফান্ড আযহারের যাকাত এন্ড চ্যারিটিজ ফাউন্ডেশনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে অধ্যয়নরত স্বজন হারানো শহিদ ফিলিস্তিনি পরিবারের ৩০জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে "ইলমান নাফিয়া চ্যারিটি হাউজ" এবার আয়োজন করেছেন ভিন্নধর্মী এক ঈদ অনুষ্ঠান।
গতকাল মিশরের রাজধানী কায়রোর সিটি ষ্টার শপিং মলে আমেরিকা ভিত্তিক বাংলাদেশী প্রবাসীদের চ্যারাটি ফান্ড ইলমান নাফিয়ার পক্ষ থেকে আয়োজিত এই ঈদ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ঈদের উপহার ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন হুজাইফা খান।
এর আগে "ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন, আল-আযহার জাকাত এন্ড চ্যারিটিজ ফাউন্ডেশনের অধীনে যুক্তরাজ্য , যুক্তরাষ্ট সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ও বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যারিটিজ ফাউন্ডেশনের পাঠানো অনুদান দিয়ে ২২টি কনটেইনার (লরি) বুঝাই ত্রান সামগ্রী মিশর সীমান্ত দিয়ে পাঠিয়েছে গাযায়।
ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হুজাইফা খান বলেন, আগামী সপ্তম দফায় "ইলমান নাফিয়া চ্যারিটিজ ফাউন্ডেশনের খাদ্য সামগ্রীর লরি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যারিটিজ ফাউন্ডেশনের আরও ১৫টি লরি ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে গাযযায় পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।
গাজায় আমাদের সহযোগিতা মূলক নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে আশা করি অচিরেই প্রথম কিবলার স্বাধীনতাকামী গাঁজার ভাই-বোনদের মাঝে পরিপূর্ণ কল্যাণ অধিকার,সমৃদ্ধি , নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
আমাদের আজকের এই আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইলমান নাফিয়া, মুহসীনিন ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি এবং হালাকাতুল ইলম সহ কাছের ও দূরের, স্বদেশ ও প্রবাসের যে যেখান থেকে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।