বরগুনার তালতলীতে এক তরুণীর (২০) বিরুদ্ধে থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু। পরে ডিবি পুলিশ ওই তরুণী এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম সবুজ ফকিরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। আদালতের বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
আজ সোমবার আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
তরুণীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ওই তরুণীর সঙ্গে ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে তার দেখা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে। সখ্যতার সুবাদে তারা পারাবাত লঞ্চে পাশাপাশি দুইটি কেবিনে আসেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, তার (বাচ্চু) কেবিনে এসে ওই তরুণী বলেন আমি রাতের খাবার খাইনি। পরে খাবার খেয়ে তার (বাচ্চু) কেবিনে কৌশলে শুইয়ে পরেন এবং তাঁকে জড়িয়ে ধরে তিনি (তরুণী) মোবাইলের গোপন ক্যামেরায় আপত্তিকর ছবি তোলেন।
ওই তরুণীর নানা অভিযোগ করেন, ‘নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিঠু আমার নাতনিকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছে। এখন উল্টো তারাই মামলার বাদী ও সাক্ষী হয়ে আমার নাতনিকে মিথ্যা পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’
মামলার বাদী নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘সুপার এডিটের মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি হোয়াসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চালায় ওই নারী। যাদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে আমরা সবাই মিলে পর্নোগ্রাফি আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।’
তালতলী থানার ওসি রনজিৎ কুমার সরদার বলেন, ‘থানায় মামলা হলে বরগুনা ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।’
বরগুনা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি বশির আলম বলেন, ‘মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’