muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

পাগলা মসজিদে মিলল রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

পাগলা মসজিদে মিলল রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দান সিন্দুক থেকে পাওয়া ২৭ বস্তা টাকা ১৮ ঘণ্টায় গণনা শেষ হয়েছে। এতে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া বিপুল স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে। ২২০ জন মিলে এ টাকা গণনা করেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে তা মসজিদের দোতলায় গণনার জন্য নেওয়া হয়। দিনভর টাকা গণনা শেষ হয় রাত ২টার দিকে। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এবার ৪ মাস ১০ দিন পর মসজিদের নয়টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খোলা হয়। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।

এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট খোলা হয়েছিল এ মসজিদের ৮টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তখন সাড়ে ১৩ ঘণ্টায় ২০০ জনেরও বেশি লোক এ টাকা গণনা শেষে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া একটি ডায়মন্ডের নাকফুলসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে ২৭টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য।

টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

Tags: