‘মানবতার ফেরিওয়ালা’র মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব অপকর্ম করা ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রাথমিকভাব রাতের আঁধারে লাশ দাফন এবং মৃত্যু সনদ দেয়ার বিষয়ে কোনোরকম সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। মিল্টনের স্ত্রীকেও আমরা ডাকবো এবং কেউ যদি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে তাহলে তাকে আমরা গ্রেফতার করব।
উল্লেখ্য, বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামক বৃদ্ধাশ্রমের আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের নানা অপকর্ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে।
যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার। নিজের পক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিও তুলে ধরেন। কিন্তু তার দাবি এবং উপস্থাপিত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিল্টনের দেয়া বেশিরভাগ তথ্যই ছিল মিথ্যা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা।
এতে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তোলেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে এনে আশ্রয় দেন বৃদ্ধাশ্রমে।
জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও। তবে যেটুকু ভালো কাজ করেছেন, প্রচার করেছেন ঢের বেশি।