ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ভোট শেষ হওয়ার পর বুধবার (৮ মে) বিকালে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কিছু অনিয়ম সংঘাতের মতো ঘটনা ঘটেছে। দুটি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ৩৪টি ঘটনা ঘটেছে যাতে ৩৭ জন আহত হয়েছে। এর সবই হয়েছে কেন্দ্রের বাইরে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। এই ধাপে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে এবং ১১৭টিতে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা বাড়ে।
এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চার ধাপে। প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ করা হলো রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে।
আজ সকাল ৮টা থেকে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন।
প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ ২৮ জন ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ এই পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।