জিতলে বেঁচে থাকবে শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ খেলার ক্ষীণ আশা। হারলে নিশ্চিত হবে শেষ চারের আগেই বিদায় নেওয়া। ধর্মশালায় বৃহস্পতিবার এমন সমীকরণ নিয়েই মুখোমুখি হয় পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বাঁচামরার সেই ম্যাচটি ৬০ রানে জিতেছে কোহলি-ডু প্লেসিদের বেঙ্গালুরু। আর মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফের স্বপ্ন বিসর্জন দিল পাঞ্জাব।
১২তম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর এটি পঞ্চম জয়। এই পাঁচ জয়ের চারটিই সর্বশেষ চার ম্যাচে পেয়েছে দলটি। এরপরও অবশ্য ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার সাতেই পড়ে আছে বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে সমান ম্যাচে অষ্টম হারের স্বাদ পেল স্যাম কারেনের পাঞ্জাব। ১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে নেমে গেছে দলটি।
বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক বিরাট কোহলি। ০ ও ১০ রানে দুবার জীবন পাওয়া ভারতের সাবেক অধিনায়ক আইপিএল ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৯২ রানে ফেরেন। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ভর করেই টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া বেঙ্গালুরু করে ৭ উইকেটে ২৪১ রান। আইপিএলে কোহলিদের এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। রান তাড়ায় পাঞ্জাব ১৭ ওভারে অলআউট ১৮১ রানে।
বেঙ্গালুরু ৫ ওভারের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছিল অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি (৭ বলে ৯) ও উইল জ্যাকসকে (৭ বলে ১২)। এরপর রজত পাতিদারকে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি কোহলির। ১০ম ওভারের শেষ বলে পাতিদার যখন আউট হলেন বেঙ্গালুরুর স্কোর ১১৯/৩। ২৩ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৫ রান করেছেন পাতিদার।
বেঙ্গালুরু সমানতালে রান করেছে শেষ ১০ ওভারেও। ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে ৪ উইকেটে ১২২ রান তোলে দলটি। এই ভাগে কোহলিকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন। চতুর্থ উইকেটে কোহলি-গ্রিন যোগ করেন ৯২ রান। ১৮তম ওভারে পেসার অর্শদীপ সিংকে ছক্কা মারতে গিয়ে একস্ট্রা কাভারে রাইলি রুশোর হাতে ক্যাচ দেন কোহলি। আউট হওয়ার আগে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন আইপিএলে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক। আজ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলে প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি হয়ে যেত কোহলির। চতুর্থ উইকেটে কোহলির সঙ্গী অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন ২৭ বলে করেন ৪৬ রান।
রান তাড়ায় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ভালোই জবাব দিচ্ছিল পাঞ্জাব। প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট ১১৪ রান তুলেছিল দলটি। জমজমাট সমাপ্তির আশা জাগানো দলটি এরপর হতাশ করে। এরপর প্রায় প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব।
পাঞ্জাবের ইনিংসে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। এ ছাড়া শশাঙ্ক সিং ১৯ বলে ৩৭, জনি বেয়ারস্টো ১৬ বলে ২৭ ও স্যাম কারেন ১৬ বলে ২২ রান করেন।
বেঙ্গালুরুর বোলাররা ভাগাভাগি করেই নিয়েছেন উইকেট। ৪৩ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট মোহাম্মদ সিরাজের।