নীলফামারীর ডিমলা সদর ইউনিয়নে পচার হাট এলাকার (হিন্দু) সম্প্রদায়ের নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আদিল শাহারিয়ার ও সাইদুজ্জামান সৈকত নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১১ মে) অনুমানিক বিকাল পাঁচটা সময় ছদ্মনাম (ললিতা) তার স্কুল শেষে স্কুলেই প্রাইভেট শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় ডিমলা স্টারল্যান্ড স্কুলের সামনে এসে পৌঁছলে পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা, ডিমলা সদর ইউনিনের ৩নংওয়ার্ডের মংলু দাসের ছেলে,প্রমিত দাস,বালাপারা ইউনিয়নের,২নংওয়ার্ডের মোঃরোস্তম বসুনিয়া(লিটন) এর ছেলে মোঃ আদিল বসুনিয়া ও আব্দুস সুবাহান এর ছেলে সৈকত ইসলাম, আদিল শাহারিয়ার আমার মেয়ে ললিতার প্রতিরোধ করে। এবং ফুসলিয়ে আদিল শাহারিয়ার ও সৈকত মোটরসাইকেলে তুলে ডিমলা ফজিলাতুন্নেসা স্কুলের পিছনে পরিত্যাক্ত টয়লেটের পাশে নিয়ে যায়। সেই সাথে প্রমিত দাস পায়ে হেঁটে ওই নির্জন জায়গায় আসে। তারা তিনজন বিভিন্নভাবে ললিতাকে কুস্তাব দেয়। ওই সময় তারা ললিতার বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায়ও স্পর্শ করে এবং আদিল শাহারিয়ার ভিডিওতে তা ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে তারা বলে ললিতা যদি প্রমিত দাসের বাড়িতে না যায় তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে দিবে। তাদের কথায় ললিতা ভয় পেয়ে যায় এবং জোর করে তাদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রমিত দাসের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর কয়েক যুবক পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে।
রবিবার (১২ মে) সন্ধায় গণধর্ষণের ঘটনায় ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের ডিমলা টেকনিক্যাল (বিএমআই) স্কুলের ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রমিত সাহা নিয়মিত উত্যক্ত করত। এছাড়া মেয়েটিকে মোবাইল ফোনেও বিরক্ত করত সে। এতে মেয়েটি সাড়া না দেওয়ায় ওই যুবকসহ অন্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীকেও গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।