বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞার কালো মেঘ আবারও নেমে এল। অনিয়ম, দুর্নীতি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টার মধ্যেই দুঃসংবাদ এল। গত বছরের ১৪ এপ্রিল আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। সেই নিষেধাজ্ঞা বেড়ে তিন বছর করা হয়েছে।
এদিকে পুরোনো অন্যায়ের শাস্তি পেলেন পাঁচ কর্মকর্তা। যাদের তিনজনই এখন সাবেক হয়ে গেছেন। তবে এবার যোগ হলো সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীর নাম। যিনি ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান।
নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির প্রথম কেউ পেলেন ফিফার শাস্তি। তবে নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বাঁচলেও ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ বা ১৩ লাখ টাকা দিতে হবে সাবেক ফুটবলার থেকে সংসদ সদস্য হওয়া সালাম মুর্শেদীকে।
আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। দু’বছর আগের শাস্তির সঙ্গে নতুন করে তিন বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন। যোগ হয়েছে আর্থিক দণ্ডও। ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ বা ২৬ লাখ টাকা দিতে হবে তাকে।
বিদায় নেয়া সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানের শাস্তির ধরনও একই। দু’বছরের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তাদেরও ১৩ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। তবে সরাসরি শাস্তি পাননি স্টোর অফিসার ও ক্রয় কর্মকর্তা ইমরুল হাসান। তাকে সতর্ক করেছে ফিফা।
সংস্থার স্বাধীন এথিকস কমিটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর এই শাস্তি দিয়েছে। শুনানি, তথ্য বিশ্লেষণ, প্রমাণ দেয়ার সুযোগ- সব ধাপ অতিক্রম করে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। ফিফার এথিকস কমিটি নিশ্চিত হয়েছে ফিফার অনুদানের অর্থ ব্যয়ে ভুয়া বিল তৈরি, ভুয়া কাগজ তৈরি, অর্থ প্রদান বা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে।
এথিকস কমিটির রায় ফিফার ওয়েবসাইটে প্রকাশের আগেই দোষীদের জানিয়ে দেয়া হয়।